লালমনিরহাটে বাণিজ্যিকভাবে ইট-পাথরের খুঁটি তৈরি করে আর্থিক স্বচ্ছলতা এনেছেন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা।
লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলায় স্বল্প পরিসরে খুঁটি তৈরি করে নিজেদের ভাগ্য বদলে ফেলেছেন অনেকেই।
লালমনিরহাটের বিভিন্ন হাট-বাজারের পাশে রয়েছে পাথর ও ইটের খুঁটি তৈরির ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কারখানাগুলো। দেশের অর্থনীতি ও অন্যের বাড়িতে মজুরির কথা চিন্তা করেই খুঁটি তৈরি করার পরিকল্পনা আসে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের। তাদের কারখানায় কর্মসংস্থান হয়েছে হাজারও শ্রমজীবি সাধারণ মানুষের।
এছাড়াও ইট-পাখরের খুঁটির পাশাপাশি রিং-স্লাবও তৈরি করা হচ্ছে এসব কারখানায়। আর এসব কারখানায় উদ্যোক্তাদের সাথে কাজ করে ভাগ্যের পরিবর্তন করেছেন অনেকেই।
এসব ইট-পাথরের খুঁটি খুচরা ও পাইকারী দরে বিক্রি হয় থাকে। এগুলো লালমনিরহাট জেলাসহ পার্শ্ববর্তী জেলায় যায়। কোন কোন এলাকায় চার কোণার খুঁটি ও কোন এলাকায় গোল খুঁটির চাহিদা বেশি।
উদ্যোক্তা নুরুজ্জামান বলেন, প্রথম খুঁটি তৈরি শুরু করি। পাশাপাশি এখন রিং-স্লাবও তৈরি করছি। এখন আমার সাথে কাজ করে অনেকে জীবিকা নির্বাহ করছেন। এটাই আমার সফলতা।
মোগলহাট ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুর রহিম জানান, ক্ষুদ্রশিল্পে তরুণ ও যুব উদ্যোক্তাদের এ কাজটি নিঃসন্দেহে এলাকার উন্নয়ন ও দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসার সম্প্রসারণ ঘটেছে। কিছু কিছু অপ্রচলিত কিন্তু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আছে। সেগুলোর ব্যবসা করেও স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব। ইট-পাথরের খুঁটিও তেমনই একটি। ঘর-বাড়ি তৈরিতে প্রচলিত বাঁশের পরিবর্তে এসব খুঁটি টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী। সরকারি ভাবে অনেক গৃহহীনকে ঘর-বাড়ি করে দেয়া হয়েছে, সেখানেও এসব খুঁটির ব্যবহার হয়েছে। তাছাড়া ঘেরা-বেড়া এবং সৌখিন বাগান করতে ইট-পাথরের খুঁটি লাগছে। অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এসব অপ্রচলিত, ব্যবহার্য ও লাভজনক পণ্য তৈরির কাজে তরুণ-যুবকদেরই এগিয়ে আসতে হবে।